ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’। ভারতের পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানতে পারে ‘শক্তিশালী’ এই ঘূর্ণিঝড়টি। চলতি মৌসুমে এটি হতে চলেছে এ অঞ্চলের প্রথম ঘূর্ণিঝড়। তবে শেষ মুহূর্তে পূর্ব উপকূলের গা ঘেঁষে বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকছে বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর।
হিন্দুস্তান টাইমস খবরে জানায়, শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালের দিকে ঘূর্ণিঝড়টি অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তর ও ওড়িশার দক্ষিণ উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। ঘণ্টায় ৮৯ থেকে ১১৭ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ।
ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) জানায়, মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সকালে দক্ষিণ থাইল্যান্ড এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি নিম্নচাপ অবস্থান করছিল। আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে তা আন্দামান সাগরে পৌঁছে যাবে। এরপর পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বৃহস্পতিবারের (২ ডিসেম্বর) মধ্যে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। যা দক্ষিণ-পূর্ব এবং সংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করবে।
পরের ২৪ ঘণ্টায় মধ্য এটি বঙ্গোসাগরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এরপর আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে ঝড়টি। সেই সঙ্গে ক্রমাগত শক্তি সঞ্চয় করবে। অবশেষে শনিবার (৪ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকালে অন্ধ্রপ্রদেশ-ওড়িশা উপকূলের মাঝামাঝি ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আইএমডি আরও জানায়, ঝড়টি ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়বে নাকি ভারতের পূর্ব উপূকল ঘেঁষে বেরিয়ে যাবে, তা এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত নয়। তবে ঝড়ের প্রভাবে ওই অঞ্চলে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
উপকূলীয় ওড়িশায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হবে। কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে অত্যধিক ভারী বর্ষণের পূর্বাভাসও থাকছে। তৎসংলগ্ন এলাকা তথা ওড়িশার একাধিক জেলা, পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলো এবং উত্তর উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
আগামী ৫ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন উত্তর উপকূলীয় ওড়িশার কয়েকটি জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসও দিয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া অফিস।
এদিকে ঝড়ের কারণে আগামী ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলেদের সাগরে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে বলেও খবরে জানায়।